১৯৭৫ সালের পর কেউই দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যবস্থা নেয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
 
রোববার (২৩ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুজিববর্ষ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
এ সময় ১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র ও পাঁচটি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
 
 
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের সমালোচনা করে বলেন, ৭৫ এরপর বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দল সরকার গঠন করেছে। কিন্তু কেউই দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা সেটা করছি। বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
 
 
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করছে। এই কাজের মধ্য দিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান দেয়ারও ব্যবস্থা করছি। সেমি পাকাঘর ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম ঘর করে দিচ্ছি। দুর্যোগকালীন মানুষের কাছে দ্রুত খাদ্য পৌঁছাতে ত্রাণগুদামের ব্যবস্থা করেছি।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, এটি একটি বদ্বীপ, প্রতিনিয়ত দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগও আসে। সবই মোকাবিলা করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আসলেই আমাদের দাবিয়ে রাখা যায়নি। যাবেও না। আমরা সব দুর্যোগ-সংকট মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
 
বজ্রপাত, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন ও টর্নেডোসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার সামগ্রিক প্রস্তুতির কাজ করছে বলেও অনুষ্ঠানে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এজন্য একটা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছি। এগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়নও করছি।
 
তিনি আরও বলেন, সারাবিশ্বে কীভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থা করা যায়, এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে একটা দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে। এটা আমাদের জন্য গর্বের।
 
করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনরা সবসময় মাস্ক পরবেন। হাত ধুবেন। নিজেদের সতর্কতার জন্য নিজেরাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। অন্যকেও উৎসাহিত করুন।
 
দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের কাজ নিজে করা, বিশেষ করে যুবসমাজ নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
 
তিনি বলেন, সামনে আরকেটা ঘূর্ণিঝড় আসছে। আমরা সতর্কতা নেয়া শুরু করেছি। সবাই সতর্ক থাকলে আমরা এটাও হ্রাস করতে পারব।
 
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।